পেন্সিলে লিখা বাবার ডায়েরি (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ পর্ব-২২)
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ২০ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৮:২১:৫২ সকাল
মিথিলা বাবু!
খুবই অস্থির একটা সময় যাচ্ছিল আমার।
তোমার আম্মু মানে লাভলির চিঠি পাই। সে পাতার পর পাতা লেখে। অনেক খুঁটিনাটি। বিস্তারিত। তার আজন্ম সংস্কারে এত বড় ঘরের এতসব আচার রীতি নীতি, আশা আকাংখা, অভ্যাস - পরিচিত মুখ - সব ছেড়ে রাতারাতি এক নতুন জীবনের সাথে খাপ খাওয়ানো কি সহজ? সৈয়দরা অনেক জমিজমার মালিক। ওদের চিংড়ি মাছের ঘের আছে। আর খুলনা শহরের বড় বড় কন্ট্রাক্ট কাজ গুলো ওরা ১ম শ্রেণির ঠিকাদারি লাইন্সেন্সের বদৌলতে যেভাবেই হোক পেয়ে থাকে।আর কয়েকটা বাড়ি আছে, সেগুলো ভাড়া দিয়েও অনেক টাকা পায়। ওর পক্ষে হলের সীমাবদ্ধ জীবন মেনে নেয়া কষ্টের।
হলের জীবনের শুরুতে সবচেয়ে কষ্ট, কিছুতেই নিজের মত করে থাকা যায় না। যতভাবেই নিজেকে বদলে নিক না কেন, কারো না কারো সাথে সমস্যা হয়ে যায়। খাওয়া দাওয়ার কষ্টের কথা বলে তো লাভ নেই, কমপক্ষে একজন দু:খ বোঝার, দুই চার কথা শোনার মানুষ না পাওয়া পর্যন্ত মন টিকানো দায়। ছারপোকায় কামড়াচ্ছে, মাসের অর্ধেকে কেউ টাকা ধার চেয়ে নিয়ে হাতখালি করে দিচ্ছে, একটু দেরীতে ডাইনিং এ গেলে খাবার জুটছে না , গোসল কিম্বা ফ্রেশ হওয়ার জন্য পানিটুকুরও যখন তখন অভাব পড়ে যাচ্ছে , যে কোন সময় কারো ঠেস দিয়ে করা মন্তব্য, টিটকিরি গা জ্বালিয়ে যাচ্ছে - এটা ওটা ছোটখাটো দরকারী জিনিস হাওয়া হতে পারে- কোন প্রতিকারহীন। এসব সবই ছিল। সইতে হচ্ছিল। সইছিল। কিন্তু লাভলিকে কষ্ট দিচ্ছিল হৃদয়ের একূল ওকূল ভেসে যাওয়া বিরহ। এটা সে যতবার লিখতো আমার সব কষ্ট মুছে যেত। বহুদূরে, যত দূরেই হোক, ভালোবাসার একজন মানুষ আছে আমার! আমার সামনের জীবনটা নিয়ে কত যে দুশ্চিন্তা তার! কেউ সারাদিন যখন তখন আমাকে ভেবে উদাস হয় - ভাবতে ভালো লাগে আমার। হাসি। রুমমেট জ্ঞানী ভাব নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসে।
আমি ওর সব অভিযোগ, অনুযোগ, ভালোলাগা, মন্দলাগা পড়ি। নিরবে আমার ভালোবাসার মানুষের জীবন, সুখ- দু:খকে অনুভব করি। তার শুভকামনা করি। কখনো কখনো আবেগ ঝাঁপিয়ে পড়ে সারাটা অনুভুতি দখল করে নেয়। অস্থির হয়ে যাই। কিন্তু জানি, এ জীবন মৃত্যুর খেলা। ছোট ভুলের জন্য চরম মাশুল দিতে হতে পারে। বাদলের মুখটা মনের দেয়ালে স্থিরচিত্র হয়ে আটকানো থাকে। লাভলির কোন ক্ষতি হোক তা কল্পনা ও করতে পারি না। এক একবার ভাবি, সম্পর্কটা কি ভুলে যাবো? তার ছয় সাত পাতা চিঠির উত্তরে আমার লেখাগুলি হয় দুই এক লাইন। এক সময় লাভলি খেয়াল করে, আমি বদলে যাচ্ছি! আগের সেই প্রগলভতা নেই।
আমিও বুঝি, আমি বদলে যাচ্ছি। নিজের গভীরে ডুবে যাচ্ছি! কি করে যেন গাম্ভীর্য আমার স্বভাবে আবার জায়গা করে নেয়। পুরনো আমার মত উচ্ছ্বলতা নিয়ে সে যত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আমি তত নিজের ভিতর গুটিয়ে যাই। সে অভিযোগ করে, 'তুমি বদলে গেছ! আর আগের মত ভালোবাসো না!'
আমার সমস্ত অস্তিত্বে জীবনের সব ভাংগাগড়া তোলপাড় করে তীব্র বেদনা জাগে। আমি তার একটা কণাও প্রকাশ করার ভাষা পাই না। জীবনানন্দ মনে পড়ে এলোমেলো হয়ে, '..হাল ছেড়ে যে নাবিক হারায়েছে দিশা! তেমনি দেখেছি তারে.. '
আমি তার চোখ দুটিকে ভাবি। কল্পনায় অপলক দেখি। কিছু বলতে পারি না। ঘূর্ণির মত জীবন আমাকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। 'ফিরিবার পথ নাহি.. ' ভাবি, 'কোথায় এলাম! আর কি কখনো দেখা হবে তার সাথে! ' অনেক দিন আগের এক সন্ধ্যার স্মৃতি পাষানের মত ভার হয়ে থাকে। তাকে সমস্ত প্রাণ মন দিয়ে অনুভব করি। নি:শব্দে। তাকেও বলা হয় না। তার চিঠির যেখানটাতে সে আমার কথা লিখে তা একা হলেই হাজারবার পড়ি। এক সময় মুখস্ত হয়ে যায়। ভাজ করা চিঠির স্পর্শ অনুভবে নিয়ে মনে মনে পড়ি, লেখাগুলি না দেখেই।
মিথিলা বাবু,
আজ তোমাকে এ দেশে চরমপন্থি দলগুলোর উত্থান সম্পর্কে কিছু জানাবো। আমার জীবনের একটি অংশের সাথে এই দলটি অনেকটা জড়িয়ে আছে। একই কারণে তোমার মায়েরও। তাই এটা তোমার জানা দরকার।
একসময় পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি ও সর্বহারা পার্টি ছিল তাত্তিকভাবে শ্রেণিহীনদের পক্ষে কথা বলার জন্যই তৈরী হয়েছিল। এখন ভাগ হয়ে বহু পার্টির নামকরণ হয়েছে। যার একটিও মার্কসবাদ, লেলিনবাদ ও মাওবাদ নয়। একেক এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে যার যার মতো খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজি, চিংড়ি ঘের দখল, চর দখলসহ এমন কোন অপরাধ কর্মকান্ড নেই যে তারা করে না। নিজেদের স্বার্থে চলা বিভিন্ন পার্টির নামে চরমপন্থীদের কর্মকাণ্ডেই তা প্রমাণিত।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কমরেড হক (যশোর) যখন এ চরমপন্থি সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করেন সেই সময় তার সঙ্গী হিসাবে ছিলেন কমরেড তোহা, নড়াইল জেলার হেমন্ত সরকার, বিমল বিশ্বাস, খুলনার জীবন মুখার্জী, চুয়াডাঙ্গার আনিছুর রহমান মল্লিক, ঝিনাইদহের আনোয়ার জাহিদ, পাবনার আলাউদ্দীন টিপু বিশ্বাস, আব্দুল মতিন, সিলেটের মোফাখখার চৌধুরী ও খুলনার মধুবাবু। অভ্যন্তরীন দ্বন্দ ও আদর্শগত বিরোধের জের ধরে ৭৪ সালের দিকে আঃ মতিন, আলাউদ্দিন, লুৎফর রহমান বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে বের হয়ে এসে গঠন করে ইপিসিপি। যার মূল নেতৃত্ব দেন পাবনার টিপু বিশ্বাস।
দূর্নীতি, স¦জনপ্রীতি ও আদর্শগত বিরোধের জের ধরে মোফাখখার চৌধুরী ও মধুবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করে। পরে মধুবাবু ও মোফাখখার চৌধুরী এবং রাজশাহীর জামাল মাষ্টার পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এম.এল) নামে এক বেআইনি চরমপন্থী সংগঠন তৈরী করে কার্যক্রম চালাতে থাকে। দলটি গোপনে কার্যক্রম চালাতে থাকে এবং জনগনের আস্থা অর্জন করতে সামাজিক ও সাংগঠনিক কাজে হাত দেয়। খুজতে থাকে একাধিক শিক্ষিত যুবক যারা ভবিষ্যত কর্ণধার।
৮৭/৮৮ সালে পার্টির তৃতীয় দফা ভাঙ্গন দেখা দেয়। মোফাখখার হোসেনের সাথে মনোমালিন্য দেখা দেয় মধু বাবু ও জামাল মাষ্টারের। তারই ফলশ্রুতিতে এরা লাল পতাকা নামের আরো একটি সংগঠনের জন্ম দেয়। অপরদিকে, বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির একাংশ কমরেড তোহা সাহেবের সাথে সাম্যবাদী দলে যোগদান করে। ইপিসিপির অন্যান্যরা গঠন করে কমিউনিষ্ট লীগ। পরবর্তীতে ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট লীগ নামে পরিচিত। ৮২ সালে এই পার্টির বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পাটি নামে আত্মপ্রকাশ করে।
২০০০ সালের দিকে দল বদল করে মোফাখ্খার চৌধুরী পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এম এল) এ যোগদান করে। মোফাখখার চৌধুরীর সাথে যোগ দেয় ঝিনাইদহ জেলার বিষয়খালী গ্রামের আব্দুর রশীদ মালিথা ওরফে তপন। মোফাখখার চৌধুরী খুলনা যশোর এলাকাতে শিমুল, পলাশ, তুষার চন্দনসহ অনেককে নিয়ে কার্যক্রম চালাতে থাকে। আর তপনকে দেয়া হয় বৃহত্তর কুষ্টিয়ার দায়িত্ব। একের পর হত্যাকান্ড চাঁদাবাজীসহ কালো টাকার পাহাড় গড়াকে কেন্দ্র করে মোফাখখার ও তপনের মধ্যে এক দ্বন্দ দেখা দেয়। একই সময়ে ধরা পড়ে চরমপন্থী রানা।
২০০২ সালের দিকে তপন - মোফাখখার দ্বন্দে ভাগ হয়ে যায় দলটি। তপন গঠন করে জনযুদ্ধ আর বিভাগীয় সম্পাদকের দায়িত্ব নেয় প্রয়াত কমরেড আবীর হাসান। মূল দলে মোফাখখার হোসেনের সাথে থাকে চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার জামাল ওরফে রবি।
২০০৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুর থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন মোফাখখার চৌধুরী। এর একদিন পরই রাজধানীতে র্যারের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি মারা যান। মোফাখখার চৌধুরী নিহত হওয়ার পর দ্বায়িত্ব পান চুয়াডাঙ্গার পলাশ পাড়ার জামাল ওরফে রবি। শেষ পর্যন্ত রবিও বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। এর পর থেকে দলটি নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ে।
বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বের হয়ে নিউ বিপ্লবী পার্টি গঠন করে ডুমুরিয়ার একসময়ের মূর্তিমান আতংক মনোরঞ্জন গোসাই ওরফে মৃণাল। ১৯৮৭ এর দিকে সে ডুমুরিয়া এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করলেও আশপাশের জেলা ও উপজেলায় বিশেষ করে কেশবপুর, তালা, সাতক্ষীরা, ডুমুরিয়া ও খুলনা এলাকায় দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে ভয়ংকর জনপদ হিসেবে চিহ্নিত করে। মৃণাল পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতে খুন হয়। তার অস্ত্রভান্ডার অরক্ষিত থাকে। অস্ত্র চলে যায় ওই গ্রুপের অন্যান্যদের হাতে। একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ভারতে মৃণালের সেকেন্ড ইন কমান্ড আলমগীর কবীর খুন হয়। ১৯৯৮ সালে বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বের হয়ে শ্রমজীবি মুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলেন ঝিনাইদহের মীর ইলিয়াস হোসেন ওরফে দীলিপ। যশোর, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া এলাকায় ওই পার্টির ব্যাপক তৎপরতা চলে এক সময়। ২০০০ সালের ১৫ জানুয়ারি দীলিপ প্রতিপক্ষ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়। সে ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণের মূল ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল। ওই সময় অনেক আর্মস ক্যাডার প্রকাশ্যে আসলেও পরবর্তীতে আবার পূর্বাবস্থানে ফিরে যায়। এখনো তার পার্টির আর্মস ক্যাডাররা গণমুক্তি ফৌজ নামে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া এবং যশোরের একটা অংশে বিচরণ করছে। যশোর অঞ্চলের পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আরেক নেতা জাফর সেখ তার বাড়ি বাঘারপাড়ায়। সে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যায় ২০০৩ সালে। ২০০৫ সালের ২৩ আগস্ট চরমপন্থী গ্যাংলিডার সাগর নিহত হয়। খুলনা অঞ্চলে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আরেক নেতা আব্দুর রশীদ তপু ২০০৪ সালের ২০ মে ঢাকায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। ২০০১ সালের ২০ মে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) এর থেকে বের হয়ে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল-জনযুদ্ধ) প্রতিষ্ঠা করে ঝিনাইদহের আব্দুর রশীদ মালিথা ওরফে তপন। দাদা তপন নামে গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জনযুদ্ধের দাপট সৃষ্টি হয়। গোটা অঞ্চলে এককভাবে বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে জনযুদ্ধ। সে ২০০৮ সালের আগস্টে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মহিলা আর্মস ক্যাডার রিক্তাসহ নিহত হয়। আলাউদ্দীনের নেতৃত্বে পূর্ব বাংলা, সর্বহারা জনযুদ্ধ, সোনার বাংলা, পূর্ববাংলা সর্বহারা, সর্বহারা কামরুল, সর্বহারা (অ,প,ক), পূর্ব বাংলা জনযুদ্ধ, পূর্ব বাংলা মধু বাবু, পূর্ব বাংলা সাম্যবাদী দল আনোয়ার হোসেন, গণমুক্তি ফৌজের লাল্টু ও রুহুল, গণবাহিনীর সিরাজুল ইসলাম, পূর্ব বাংলা (মাওবাদী) খুলনার মাহফুজ ও দিপুসহ অনেক দল ও উপদলে বিভক্ত হয়ে অপরাধ কর্মকান্ড ঘটায়। যার সিংহভাগই গ্যাংলিডারের অস্তিত্ব এখন নেই। অনেকেই নিহত হয়েছে। তাদের অনেকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতা ও কর্মীরা পার্টি চালাচ্ছে।
এই আন্ডারগ্রাউন্ড অন্ধকার জগতে আমি এক ধরণের আলো কল্পনা করে পথ চলা শুরু করেছিলাম। মুগ্ধতার টানে দ্রুতই সারা জীবনের অনেক ধ্যান ধারণা পাল্টে গেল। একদিন শিমুল ভাইয়ের সাথে একটা গোপন মিটিঙে গেলাম। সেটা ছিল অভয়নগরে।এই মিটিং এ নতুন-পুরনো কিছু নেতাদের সাথে আমার প্রথম দেখা হয়। ওনারা সকলে ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। তবে ছদ্ম নাম খুব ভালো মুখোশ বা আড়ালের কাজ করে না। বরং তা এক ধরণের ইনিশিয়াল। ওদের দু'একজনের ঐ ছদ্ম নামই তাদের বহু কীর্তি বা কুকীর্তি আমার চোখের সামনে এনে দিচ্ছিল। আমি এমন কিছু মানুষকে এভাবে সামনাসামনি পেয়ে কিছুটা বিহ্বল হলাম। কল্পনার বাইরের একটা সময়। আমার নিজের জীবনের একটা অংশ! নিজেকে নিজের অচেনা লাগছিল। চারপাশটা যেন আমার ভিতরটাকে স্পর্শ করছিল! এইসব মানুষ - দূর থেকে এদের অনেককে ঘৃণা করেছি, কাউকে কাউকে ভালোবেসেছি, এদের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করেছি - কখনো পাশে বসবো ভেবেছি কি?
সেদিন ওনাদের একজন ছিলেন আজীবন ব্রহ্মচারী জীবনযাপন কারী একজন । এই মানুষটিকে খুব ভালো লাগলো। নতুনদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বললেন তিনি সেদিন। মন দিয়ে শুনলাম।
(ক্রমশঃ)
[* কিছু তথ্য গুগলে সার্চ দিয়ে নেয়া হয়েছে ]
বিষয়: সাহিত্য
১৮৬০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক লিখা জমে আছে। এই সিরিজেরই ৩১ তম পর্ব লিখা হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সাথে রয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন